বিপ্লব হোছেন টাংগাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
থানার লকাপে ১৪ ঘন্টা দুই যুবক। কোন আপরাধে তাদের লকাপে বন্দী করে রাখা হয়েছে, তা জানেনা ওই দুই যুবক সহ তার অভিভাবকরা। কোন অভিযোগে তাদেরকে ধরে থানায় নেওয়া হয়েছে তাও জানাতে নারাজ পুলিশ। অবশেষে মুছলেখা দিয়ে মুক্তি পান ওই দুই যুবক। মুক্তির পরেও কারাবন্দী থাকার কারন জানতে পারেননি কেও। এমন চিত্র টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুন রাত সাড়ে দশটার দিকে বাড়ি থেকে ঘাটাইল থানায় নেওয়া হয় দিঘলকান্দী ইউনিয়নের জোতনছর গ্রামের মো. রাকিব (২৪) এবং মো. রাহুলকেকে (১৭)। কেন তাদেরর গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানেনো হয়নি গ্রেফতারকৃত যুবক সহ তাদের পরিবারের সদস্যদের।
ঘাটাইল থানার পুলিশের উপ—পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তাদের গ্রেফতার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে তাদের থানায় ধরে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি। কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং কে অভিযোগ করেছেন জানতে চাইলে সুস্পষ্টভাবে কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
পরে ২৯ জুন (শনিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে থানায় আসেন দিঘলকান্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম (মটু) এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন। এসময় তারা আসামীদের ছেড়ে দিতে বলেন এবং মুছলেখা দিয়ে ওই দুই যুবকে ছেড়ে দেন ঘাটাইল থানা—পুলিশ। এসময় আলাপকালে কোনপ্রকার লিখিত অভিযোগ ছাড়াই বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেনের মৌখিক অভিযোগেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় লকাপে থাকা মো. রাকিবের সাথে। তিনি জানান, থানায় আনার সময় আমি বার বার পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেছি কেন আমাকে থানায় নেওয়া হচ্ছে? তারা আমাকে কিছুই জানান নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালাম মিয়াকে থানায় পাওয়া যায়নি এবং মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।