কক্সবাজার প্রতিনিদি
লোকমান ইসলাম রানা।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শহরের পর্যটন জোন কলাতলীতে প্রতিযোগিতা দিয়ে একের পর এক অবৈধ ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। কোথায় দ্বিতলকে করা হচ্ছে বহুতলে। আবার কোথাও সড়ক দখল করে চলছে ভবণ নির্মান। অনেকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় নির্মান করছে বহুতল ভবন। কলাতলির সৈকত পাড়া মসজিদের দক্ষিণ পাশের পাহাড়ের লাগোয়া জায়গায় গড়ে তোলা হচ্ছে ৫/৬ তলা বিশিষ্ট ভবন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কউক, চাঁদাবাজ ও কথিত সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য রয়েছে আলাদা টিম ও বাজেট।
এদিকে কলাতলির বিশেষ এলাকাকে ইকোলুদজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) ঘোষণা করা হলেও কেউ মানছেনা এই আইন।কক্সবাজার সৈকত হতে উপরে ৩০০ মিটারে নতুন কোন স্থাপনা নির্মাণে ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ভবন তৈরীতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ও জেলা প্রশাসন এবং অন্য প্রতিষ্ঠানের সঠিক অনুমতির ও প্রয়োজন মনে করছেন না প্রভাবশালীরা।
গতকাল সৈকত পাডা জামে মসজিদের পাশে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়-' মসজিদের দক্ষিণ পাশেই আবাসিক হোটেল রিগ্যাল হোমের অনতিদূরে খাস খতিয়ানভুক্ত পাহাড়ি জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে একটি বহুতল ভবন। ইতিমধ্যে ভবনটি পাঁচতলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই করা হয়েছে। ভবনটির দেখভালে নিয়োজিত আওয়ামী লীগ নেতা ভুট্টু জানান -পাঁচতলা ভবনটি নির্মাণ করছে কুমিল্লার ব্যবসায়ী রুবেল এবং তার বন্ধুরা। তিনি ভবনটির অনুমোদন নিয়েছেন বলে দাবি করেন। ভুট্টো দাবি করেন, ভবন নির্মানের জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছে। তাছাড়া সাংবাদিক পরিচয়ে কয়েকজন এসে খরচের টাকাও নিয়ে গেছে। আমি এটার দেখাশোনা করছি। এখানে মালিক পক্ষের কেউ নেই। আপনার কোন বিষয় জানার থাকলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। পরিবেশ অধিদপ্তর ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনটি নির্মাণের বিষয়ে অবগত বলেও দাবী করেন এ নেতা।