জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
গত শুক্রবার ০৭-২-২৫ জুম’আর নামাজের পর ঐতিহ্যবাহী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জামে মসজিদ মিরপুর-১২ এর মসজিদ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আসগরসহ কমিটির সকলের বিরুদ্ধে মুসুল্লীরা ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদ প্রাঙ্গনে আন্দোলন করেন।
অত্র মসজিদের সম্মানিত খতীব সুনামধন্য বক্তা মুফতি রিজওয়ান রফিকী জুম্মার বয়ান শেষে মুসুল্লিদেরকে বলেন, ‘আজকের জুম’আ আমার এ মসজিদে শেষ জুম’আ। আমি গত জুম’আয় আপনাদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম, বিগত কমিটি মসজিদ থেকে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছিলো, যার সাক্ষি আপনারাও। কিন্তু কোনো প্রতিবাদ না হওয়ায় তারা বেপরোয়াভাবে অপরাধ চালিয়ে গেছে, কিন্তু এ কমিটির কেউ যদি কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে আমাকে জানাবেন, আমি প্রথম প্রতিবাদ করবো, এটা খতীব হিসেবে আমার যিম্মাদারি।
এ কথাকে বিকৃত করে গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি অত্র মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা আসগর আমাকে ফোন দিয়ে তুই তোকারী করে অকথ্য ভাষায় কথা বলে এমনকি ‘তুই তো বেটা ফেরাউন হয়ে গেছোত’ বলে আচরণ করেন সেই সাথে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন, এ কথোপকথন মুসুল্লিদের শোনানোর সময় কমিটির কিছু আসগার সমর্থক লোকজন কৌশল করে থামিয়ে দিতে চাইলে মুসুল্লিদের সাথে বাকবিতন্ডা হয় এবং উত্তেজনা পরিবেশ তৈরি হয়। এ সময় নামাজে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন খতীব রিজওয়ান রফিকী।
নামাজ শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে এলাকাবাসী খতীবকে ফেরাউন বলায় মসজিদ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আজগরসহ জড়িত সকলের বিচার ও কমিটির বিলুপ্তি দাবি এবং খতীব রিজওয়ান রফিকীকে পূণর্বহাল চেয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে মসজিদ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আসগরকে পাওয়া যায়নি।
খতীব রিজওয়ান রফিকী গণমাধ্যমকে জানান, ‘অপরাধ যেই করুক তার প্রতিবাদ করা খতীব হিসেবে আমার যিম্মাদারি, আমি অপরাধ দেখে চুপ থাকতে পারি না, আমার ঈমান আমাকে চুপ থাকতে দেয় না। কিন্তু দূর্ণিতীবাজরা এ চেতনা মেনে নিতে পারে না।
তিনি আরো বলেন অত্র মসজিদের দীর্ঘদিন যাবৎ সকল কমিটির লোকেরা মসজিদ-মাদ্রাসার আলেমদেরকে গোলাম বানিয়ে রেখে আসছে, এর একটা সমাধান হওয়া উচিত। আমার বক্তব্য হলো, দূর্ণীতিবাজ, জালেম এবং বেয়াদবদের দ্বারা পরিচালিত কমিটি মসজিদ-মাদরাসার জন্য উপযুক্ত নয়।
এলাকাবাসীরা বলেন, যদি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হয় এবং খতীব পূণর্বহাল করা না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর আন্দোলন হুশিয়ারী দিবেন।