1. info@www.crimenews24.tv : Crime News 24 :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কোন রাজনীতি করা যাবে না- সিটি মেয়র

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৪৫২ বার পড়া হয়েছে

দেশের একমাত্র রাজনীতিমুক্ত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। এটি দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ।
নেই র‌্যাগিং ও সেশনজট।বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে অভ্যন্তরীণ ছাত্র কোন্দলের মুখে অচলাবস্থায় পড়তে হয়নি খুবিকে।নোংরা রাজনীতির ছোবলে ক্যাম্পাসে কখনো রক্তের দাগ লাগেনি। অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যথাসময়ে ক্লাস, পরীক্ষা এবং ফল প্রকাশিত হয়।
কিন্তু বর্তমান করোনাকালীন বন্ধের মধ্যে একটি চক্র খুবিকে অশান্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচারণসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড সম্প্রতি ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলামকে (রোল নং- ১৭২৭০৭) দুই বছরের জন্য এবং বাংলা ডিসিপ্লিনের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানকে (রোল নং- ১৮১৯৫৭) এক বছরের জন্য শিক্ষাকার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কাউন্সিলের কাছে আপিল করার সুযোগ না নিয়ে রোববার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করে।
আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থীর ভাষ্য, তারা একাডেমিক কাউন্সিলের কাছে আপিল করবেন না।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থানরত দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুই দফায় উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য ওই দুই শিক্ষার্থীকে শৃঙ্খলাবোর্ড প্রদত্ত শাস্তি প্রত্যাহারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদন করার জন্য পরামর্শ দেন। এছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশনে বসলে শিক্ষক প্রতিনিধি দল তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
এর আগে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই শিক্ষার্থীরা বহিষ্কারাদেশ বাতিলের দাবি জানান। এছাড়া গত কয়েকদিন বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া, মিছিল, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করছেন তারা। যদিও এসব আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাড়া নেই।
অভিযোগ রয়েছে, এসব ছাত্রদের আন্দোলনে পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন তিন শিক্ষক। তারা হলেন, বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল ফজল, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম।
অবাধ্যতা, গুরুতর অসদাচারণ ও নানাবিধ অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এদের একজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং দুইজন শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ২১১তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের স্ব স্ব নামে কেনো তাদেরকে বরখাস্ত এবং অপসারণ করা হবে না মর্মে পত্র দেওয়া হয়। সে পত্রের জবাব জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষকরা খুবির রেজিস্ট্রার বরাবর জবাব দেন, যা শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে এবং সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
খুবির একাধিক সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রথমবর্ষে ভর্তির দিন যখন ক্যাম্পাসে নবাগত শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকসহ আসেন, ঠিক সেদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী অনেকটা অতর্কিতে রাস্তা অবরোধ করে তাদের দাবির পক্ষে শ্লোগান দিতে থাকেন। এই অবস্থান সমাবেশ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। অথচ ছাত্রদের এই দাবি নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি বা কোনো পরামর্শ দেননি।
অপরদিকে সড়ক অবরুদ্ধ রেখে দুজন সিনিয়র শিক্ষকের গাড়ি যেতে বাধা প্রদান করা হয় এবং তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা দুর্ব্যবহার করেন। ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন ভর্তির সময় শত শত নবাগত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকের সামনে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর এই আচরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ পর্যায়ক্রমে যখন বাস্তবায়িত হচ্ছিলো এবং প্রশাসন সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেয়, তার মধ্যে শিক্ষার্থীদের এই আচরণ ছিলো অপ্রত্যাশিত। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০-২৫ জন ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ওই অবস্থানকালীন সময়ও তাদের কাছে এসে উক্ত তিনজনসহ চার শিক্ষক প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের অবশিষ্ট দাবির বিষয় খতিয়ে দেখে একটি সুপারিশ প্রদানের জন্য সকল ডিন এবং ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে। কমিটি প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দাবির বিষয়ে কথা বলতে গেলে ওই শিক্ষার্থীরা ডিনদের কোনো কথাই শুনতে রাজি হননি এবং এক পর্যায়ে কমিটির সদস্যদের দিকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। পরের দিন ৩ জানুয়ারি তারা অফিস চলাকালে কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে উপাচার্য, রেজিষস্ট্রারসহ প্রশাসনভবনে কাজে আসা সম্মানিত শিক্ষক এবং কয়েকশত কর্মকর্তা কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্থিরচিত্র সংগ্রহ করে। এছাড়া ছাত্রদের হাতে অপমানিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষক প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করে এর বিচার দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও দুইজন শিক্ষককে অপমানিত করার বিষয়ে বিচার দাবি করা হয়। এর পরপরই করোনা মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রশাসনিক কাজ পুনরায় শুরু হলে এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চারজন শিক্ষকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে যেয়ে উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান, তাদেরকে উত্তেজিত করতে বিভিন্ন মাধ্যমে উস্কানীমূলক স্টাটাস দেওয়াসহ এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করে কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে। ওই শিক্ষকদের মধ্যে তিনজন কারণ দর্শানো নোটিশের যে জবাব দেন তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন পুনরায় তাদের আরেক দফা কারণ দর্শনো নোটিশ দেয়। তাদের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তিন সিনিয়র শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি কার্যপরিধির আলোকে উক্ত তিন শিক্ষককে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য চিঠি দেয়। কিন্তু নানা অজুহাতে তারা তদন্ত কমিটিতে উপস্থিত না হয়ে তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। এই অনাস্থা জ্ঞাপক তিনটি পত্রের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে অভিন্নতা দেখা যায়। প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী তার অনাস্থা জ্ঞাপক চিঠিতে উল্লেখ করেন ‘তদন্ত কমিটিতে কোনো নারী সদস্য নেই। কমিটিতে তার সম্প্রদায়ের শিক্ষক নেই। ’ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে তার এমন অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত উত্তরে কমিটিসহ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্যরা বিস্মিত হন।
অপর প্রভাষক শাকিলা আলমও তদন্ত কমিটির প্রতি দৃঢ় অনাস্থা জ্ঞাপন করে পত্র দেন। তিনি তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হলেও কমিটিতে কোনো নারী সদস্য নেই জানিয়ে তার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হওয়া এবং তদন্তকালীন কথাবার্তার অডিও রেকর্ড করার অনুমতি চান। তদন্ত কমিটির নিকট থেকে নিরপেক্ষতা ও ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করে কমিটির প্রতি দৃঢ় অনাস্থা জ্ঞাপন করেন।
বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল তদন্ত কমিটির প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে রাজনৈতিকসহ বহুবিধ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তদন্ত কমিটির প্রতি দৃঢ় অনাস্থা জ্ঞাপন করেন। পরবর্তী সময়ে তদন্ত কমিটি দুইবার পত্র দিয়ে তাদের উপযুক্ত সময় ও স্থান মতো সাক্ষাৎকার প্রদানের জন্য পত্র দেয়। কিন্তু তারা তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হননি। তাদের এসব আচারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির শর্তানুয়ায়ী অবাধ্যতা ও গুরুতর অসদাচারণ হিসেবে প্রতীয়মান হওয়ায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সিন্ডিকেট তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলে জানান একজন সদস্য।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে অচলবস্থা সৃষ্টি এবং প্রশাসনিক কাজ স্তব্ধ করে উপাচার্যকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি এসব কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলো কিনা সে বিষয়টি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা খতিয়ে দেখছে।
বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় না হলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি সচেতন। জন্মলগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মিছিল মিটিং হয় না। সেখানে বর্তমানে বহিরাগতরা নামমাত্র সংগঠনের ব্যানারে মিছিল করছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নষ্ট করার লক্ষ্যে কতিপয় সুবিধাবাদী সংগঠন বহিস্কৃত ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে উস্কানিমূলক বিবৃতি প্রদান করে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ থেমে থাকবে না।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকে দেশের একমাত্র রাজনীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। যে কারণে এখানে কোনো রক্তপাত, হানাহানি, মিছিল মিটিং হয় না। শিক্ষার পরিবশে নষ্ট করার জন্য একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি ঢোকাতে চায়। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে, বিধি অনুযায়ী তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, বহিষ্কৃত ছাত্রদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে। তাদের কৃতকর্মের ভিডিও ফুটেজও রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচারণের দায় স্বীকার করে অনুশোচনা প্রকাশ করে আবেদন করলে তদন্ত কমিটি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এছাড়া শিক্ষকরা কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন, সে বিষয়ে শনিবারের সিন্ডিকেটের সভায় সিদ্ধান্ত নেবে।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার অাব্দুল খালেক অবস্থানরত দুই শিক্ষার্থীর অনশনরত ছাত্রদের দেখতে যান এবং শিক্ষকদের অনুরোধ করেন তাদের শাস্তি শীতল করার জন্য। তিনি বলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক মুক্ত এখানে কোন রাজনীতি করে পানি ঘোলা করা যাবে না। বাংলাদেশসহ বিশ্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত। এই বিশ্ববিদ্যালয় কোন অনিয়ম বা কারো উপর হিংসাত্মক আচারণ করা যাবে না। তিনি বহিষ্কারাদেশ দুই ছাত্রকে বলেন তোমরা নিয়মমাফিক আবেদন করো, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তোমাদের বিষয় বিবেচনা করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© 𝟐𝟎𝟐𝟐-𝟐𝟎𝟐𝟑 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 𝐀𝐥𝐥 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭𝐬 𝐫𝐞𝐬𝐞𝐫𝐯𝐞𝐝.
𝐃𝐞𝐬𝐢𝐠𝐧 & 𝐃𝐞𝐯𝐞𝐥𝐨𝐩𝐞𝐝 𝐛𝐲: 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝