জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে লিয়াজোঁ কমিটি এবং ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এসময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন আগামী দিনগুলোতেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলবে বিএনপি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার। সমসাময়িক রাজনীতি, আগামী নির্বাচন ও পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের পর গণভোট ব্যবস্থা আলোচনায় স্থান পায়। পরে নজরুল ইসলাম খান জানান, বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি এখনো। নির্বাচন নিয়েও দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি ।
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে আন্দোলন করায় আমাদের মতপার্থক্য নেই। আমাদের যেই এক দফা হাসিনার পতন সেটি বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু আমাদের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, সেটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সেই লক্ষ্যেই এই আলোচনাগুলো হচ্ছে।
যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রেস সচিবের বক্তব্যে মিল নেই, তাই নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো মন্তব্য করবো না’, যোগ করেন নজরুল ইসলাম খান।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর আন্দোলন করেছি অধিকারের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। এক পর্যায়ে আন্দোলনের সাফল্য পেয়েছি, শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিদায় করতে পেরেছি। আমরা চাই, বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান হবে। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নির্বাচন খুবই জরুরি।
তিনি আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ২০২৫ এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে কিন্তু আমরা চাই সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করা যাবে না। নির্বাচন যেন অচিরেই হয় এ সরকারের কাছে দাবি রাখছি।’