1. info@www.crimenews24.tv : Crime News 24 :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

জয়পুরহাটে বলাৎকারের নয় মাসেও প্রতিবেদন মেলেনি আদালতে

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

নিরেন দাস,বিশেষ প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল মামুদপুর ইউনিয়নের সমন্তাহার গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে ইছাশাহা (১৪) নামে এক শিশুকে ১৯ জুন ২৩ শে বলাৎকারের ঘটনা ঘটে।

এনিয়ে ভিকটিমমের বাবা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- এ মামলা করেন৷ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)তে পাঠান। তাদের পনের কর্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ১৫ কার্যদিবসের স্থলে প্রায় ৯ মাস পার হলেও অজানা কারনে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেনি।

অভিযুক্তরা হলেন, মৈয়ম শেরকোল গ্রামের মালেকুল ইসলামের ছেলে রবিউল (১৯) অফিরুদ্দিনের ছেলে কেকা (২৩)সাইফুল ইসলাম এর ছেলে স্বাধীন (১৮) সাং সমন্তানহার সকলের থানা ক্ষেতলাল জয়পুরহাট।

এজাহার থেকে জানা গেছে, ভিকটিম একজন অটিজম মানসিক প্রতিবন্ধী৷ ১৯জুন২০২৩ আসামিদের পরিকল্পনা মাফিক ইছাশাহাকে বাড়ির পাসে বিভিন্ন কথা বলিয়া ফুসলিয়া মাঠের গভীর নলকুবের ঘরের মধ্যে লইয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাহার প্যান্ট খুলিয়া পায়ু পথে বলাৎকার করেন৷ একে একে পর্যায়ক্রমে ভিকটিম কে একাধিকবার বলাৎকারও (ধর্ষণ)করিয়া ঘটনার স্থল ত্যাগ করেন৷ তখন ভিকটিম কান্নাকাটি করিয়া বাড়িতে এসে মাসহ পরিবারের লোকজন কে ঘটনাটি জানায়৷ উপায়ান্তর না পেয়ে গত ১৪ জুলাই ২৩ তারিখে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে আসে৷

ভিক্টিম ইছাশাহার বাবা আনিসুর রহমান বলেন, ন্যায় বিচারের আশায় ৯ মাস যাবত অপেক্ষা করছি৷ এর মধ্যে আমার বাচ্চাটা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে অর্থের অভাবে আমি তার চিকিৎসা করতে পারছি না৷ পায়ু পথে ইনফেকশন (ঘা)হয়েছে। ওই স্থানে সব সময় বাচ্চার জালা যন্ত্রণায় ও ছটফট করে৷ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমার প্রতিবন্ধী সন্তানটি উপর যারা নির্যাতন করেছে তাদের যেন দ্রুত বিচারের আওতায় আসে৷

গত ২২শে জুন সারেজমিনে গিয়ে অভিযুক্তদের মুঠো ফোন ও বাড়িতে গিয়ে তাদের সাক্ষাৎ বা বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি৷

স্থানীয় ইউপি সদস্য সামাদ মন্ডল বলেন, এরকম একটি বিষয়ে ওই ছেলের মা সহ-অভিভাবকরা আমার কাছে এসেছিল৷ মীমাংসার কথা শুনেছিলাম। আমি তাদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। পরে শুনেছি ওই ছেলের বাবা আদালতে মামলা করেছে। তারা যেন ন্যায় বিচার পায়।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) শরিফ ইসলাম বলেন, তদন্ত শেষ হয়েছে। আমি মেডিকেলে তিন দিন গিয়েছিলাম রিপোর্ট এখনো হাতে পাইনি প্রতিবেদনটি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দাখিল করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© 𝟐𝟎𝟐𝟐-𝟐𝟎𝟐𝟑 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 𝐀𝐥𝐥 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭𝐬 𝐫𝐞𝐬𝐞𝐫𝐯𝐞𝐝.
𝐃𝐞𝐬𝐢𝐠𝐧 & 𝐃𝐞𝐯𝐞𝐥𝐨𝐩𝐞𝐝 𝐛𝐲: 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝