রিপোর্টার কুড়িগ্রাম
টানা বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌর এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে অকাল বন্যা। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, উন্নয়ন কাজের ধীরগতি এবং খালখন্দে ভরা সড়কের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরবাসী ও পথচারীরা।
স্থানীয়রা জানান, একটু বৃষ্টি হলেই উলিপুর পৌর শহরের বেশিরভাগ সড়ক কাদা ও পানিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। জলাবদ্ধতা এবং রাস্তার দুরবস্থার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভটভটির অবৈধ পার্কিংয়ে সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট ও নৈরাজ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড় মসজিদ মোড় থেকে উলিপুর রেলগেট, রেলগেট থেকে আজমের মোড়, বিএনপি ভবনের সামনে থেকে বুড়ী তিস্তা নদী পর্যন্ত, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড় থেকে জোদ্ধার পাড়া মন্দির এবং আক্তারুন নাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে গুনাইগাছ ব্রিজ পর্যন্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সংস্কারকাজ দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এছাড়া বকুলতলা বাজার থেকে বটের তল এবং মাতৃমঙ্গল থেকে উপজেলা চত্বর পর্যন্ত সড়কের অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক।
শিক্ষার্থী শামসুন্নাহার বেগমের মা অভিযোগ করে বলেন, “বিএনপি অফিসের মোড় থেকে ভূমি অফিস পর্যন্ত রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুসমান পানি জমে থাকে। স্কুলগামী শিশুদের চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়ে।”
উলিপুর খেলাঘরের স্বত্বাধিকারী সাইদুর হোসেন খোকা, মুদি দোকানি আনোয়ার হোসেন এবং চা বিক্রেতা দেবেন্দ্রনাথ সরকার জানান, “উলিপুর একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পঁচা পানি জমে থাকে। রাস্তার আশপাশের ড্রেন থেকে বেরিয়ে আসা ময়লা ও দুর্গন্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সাধারণ চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।”
মোবাইল ব্যবসায়ী রহমতউল্লাহ জানান, “আক্তারুন নাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনের রাস্তা এতটাই খারাপ যে একটু বৃষ্টিতেই চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে।”
এ প্রসঙ্গে উলিপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, “পূর্ব বাজার এলাকার সড়কে দুই-একদিনের মধ্যে এস্কেভেটর দিয়ে খনন করে জলাবদ্ধতা দূর করা হবে। পাশাপাশি শহরের অন্যান্য সড়কগুলোতেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
জনগণের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও ঠিকাদারদের দায়িত্বহীনতার কারণেই এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।