1. info@www.crimenews24.tv : Crime News 24 :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

নওগাঁর বদলগাছীতে জাল সনদধারীকে দিয়ে চাকরি করানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষ- সভাপতির বিরুদ্ধে

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি,

নওগাঁর বদলগাছীর ধর্মপুর-গোয়ালভিটা আলিম মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল বারেক ও অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জাল সনদধারীকে দিয়ে চাকরি করানো, সরকারি বরাদ্ধের টাকা, প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীয় এক ব্যাক্তি এ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ইউনিয়নের ধর্মপুর-গোয়ালভিটা হোসেনিয়া আলিম মাদ্রাসাটি দীর্ঘকাল যাবৎ সুনামের সহিত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসলেও এর ম্যানেজিং কমিটি ও অধ্যক্ষের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম দূর্নীতিতে মাদ্রাসাটি বর্তমানে নাজেহাল অবস্হা বিরাজ করছে। এই মাদ্রাসার সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষকে হাত করে তাদের যোগশাজসে তার শিক্ষাজীবনের জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে কয়েক বছর ধরে মাদ্রাসায় চাকুরী করে সরকারি বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। তার নিবন্ধন সনদ যাচাই করতে চাইলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষ অতি সুকৌশলে তার সনদের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার ভয়ে তাকে চাকুরী হইতে স্বেচ্ছায় অবসরে পাঠিয়েছেন এবং তার অবসর-কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা সরকারি কোষাগার হতে উত্তোলন করে আত্মসাতের পাঁয়তারা করে যাচ্ছেন। এবং ওই মাদ্রাসার আইসিটি বিষয়ের শিক্ষিকা আকলিমা খাতুন তিনিও তার (কম্পিউটার সাটিফিকেট) জাল সনদ দিয়ে এখন পর্যন্ত চাকুরীরত আছেন এবং সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ও বেতন-ভাতাদি ভোগ করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও ওই মাদ্রাসায় সরকারের পারফরম্যান্স বেজড গ্র‍্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস স্কিমের আওতায় ৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পেয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের অংশের টাকা বাদে সমস্ত টাকা অধ্যক্ষ ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি আত্মসাৎ করাসহ বিগত কয়েক বছরে শিক্ষক- কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা করেছে। ওই মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকে সে নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন, নিয়োগ বাণিজ্যের প্রমাণ মিলবে তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব নাম্বার যাচাই করলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক বলেন, প্রকল্পের টাকা থেকে শিক্ষকদের অংশের টাকা দেওয়া হয়েছে তবে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়ার বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।

এবিষয়ে জানতে শিক্ষিকা শাহানাজ পারভীন ও আকলিমা খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ না করায় তাদের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিযোগ গুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ও সভাপতি বলেন, এই অভিযোগ গুলো সত্য নয়। সেই শিক্ষিকাদের কাগজপত্রসহ সরকারি প্রকল্পের টাকা ব্যয়ের ভাউচার এবং মাস্টার রোল দেখতে চাইলে তারা সেগুলো দেখাতে অস্বীকার করেন।

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, ওই মাদ্রাসার অনিয়মের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© 𝟐𝟎𝟐𝟐-𝟐𝟎𝟐𝟑 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 𝐀𝐥𝐥 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭𝐬 𝐫𝐞𝐬𝐞𝐫𝐯𝐞𝐝.
𝐃𝐞𝐬𝐢𝐠𝐧 & 𝐃𝐞𝐯𝐞𝐥𝐨𝐩𝐞𝐝 𝐛𝐲: 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝