1. info@www.crimenews24.tv : Crime News 24 :
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন

বকেয়া বিল না দিলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে না আদানি।

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে
Oplus_131072

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া বিল না দিলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে ভারতের আদানি গ্রুপ। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে এনেছে তারা।

রোববার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছেন আদানি গ্রুপ বাংলাদেশকে এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের কাছে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার পাবে। যা বাংলাদেশি অর্থে ১০ হাজার কোটি টাকার সমান।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, আদানি গ্রুপ প্রথমে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। এছাড়া বকেয়া পরিশোধের নিশ্চয়তার জন্য তারা ১৭০ মিলিয়ন ডলারের লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) চেয়েছিল।

পিডিবি যদিও কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি ইস্যু করেছিল। কিন্তু এটি বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি অনুযায়ী ছিল না। এজন্য ডলার সংকটকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এরপরই গত ৩১ অক্টোবর আদানি গ্রুপ তাদের ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় অবস্থিত ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। কিন্তু গত শুক্রবার দিনের বেলা আদানি গ্রুপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে মাত্র ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে লোডশেডিং দেখা দেয়।

পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাটের বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এসএস পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে ইতিমধ্যে অর্ধেক ক্যাপাসিটি নিয়ে চলছে।

খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ডলার সংকটের কারণে সময়মতো অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অক্টোবরে চুক্তি অনুযায়ী আদানিকে ৯০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু আগের মাস গুলোতে ২০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার করে দিয়েছে। যেখানে প্রতিমাসে বিল বাবদ ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে দেওয়ার চুক্তি রয়েছে। আদানির কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনে ১০ থেকে ১২ টাকায়। এরসঙ্গে ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা কেনার বিষয়টি জড়িত।

এদিকে আদানি গ্রুপ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে কোম্পানিটির এক নির্বাহী কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে আগে বলেছিলেন, তারা আশা করেছিলেন একটি সমাধান হবে। কিন্তু সময় মতো বিল না দেওয়া এবং বিষয়টি পরিষ্কার না করায়, ভারতের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে কঠোর অবস্থান নিতে হয়। কারণ তাদের যেসব বিনিয়োগকারী আছে তাদেরও অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আদানির এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সম্ভবপরতাও শঙ্কায় পড়বে। কারণ শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এই কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ না দিলে তাদের একটি ৮০০ মেগাওয়াটের ইউনিট বেকার পড়ে থাকবে। যদি তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে মাসে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে বিল নিতে পারে তাহলে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে।

এদিকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই আদানি গ্রুপ সতর্ক হয়ে যায়। কোম্পানিটির মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয় বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি শঙ্কায় পড়ে যেতে পারে। এ কারণে তারা ভারতের ভেতর বিদ্যুৎ সরবরাহের উপায় খুঁজতে থাকে। এখন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ না দিলে অভ্যন্তরীণ গ্রিডে যুক্ত হবে তাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এর আগে বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও আদানি পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যকার ইস্যুতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

তিনি বলেন, এটি একটি বেসরকারি সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার চুক্তি। বিষয়টি দুই পক্ষের চুক্তির শর্তের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। সুতরাং, এ বিষয়ে জানানোর জন্য এখন আমার কাছে কোনো তথ্য নেই

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© 𝟐𝟎𝟐𝟐-𝟐𝟎𝟐𝟑 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 𝐀𝐥𝐥 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭𝐬 𝐫𝐞𝐬𝐞𝐫𝐯𝐞𝐝.
𝐃𝐞𝐬𝐢𝐠𝐧 & 𝐃𝐞𝐯𝐞𝐥𝐨𝐩𝐞𝐝 𝐛𝐲: 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝