সালমান ইস্পাহানী সাইমন
নোবিপ্রবি প্রতিবেদক।
টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আসা পানিতে বন্যার সৃষ্টি হয় নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লায়।ঠিক সেই মুহূর্তে বন্যার্ত মানুষের পাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে বানভাসি মানুষের মাঝে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন।২১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া কার্যক্রমটি এখন পর্যন্ত চলমান। বন্যার্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ থেকে শুরু করে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বন্যার্তদের আশ্রয়ের জন্য খুলে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভবন। অডিটোরিয়ামে তাদের প্রতিদিনের খাবারের জন্য এগিয়ে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ত্রাণ প্যাকেটিং করে ক্যাম্পাসের বাসে করে বন্যা কবলিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্তমানে নোবিপ্রবির অডিটোরিয়ামে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে প্রায় ৩০০ বানভাসি মানুষ। এদের চিকিৎসা এবং পানিতে আটকে পড়া গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ রোগীদের উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। আশ্রয়কেন্দ্রে এ পর্যন্ত ৪ জন নবজাতক শিশু জন্ম নিয়েছে।
এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থী সংগঠন, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও মেডিকেল টিম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজস্ব তহবিল গঠন করে বন্যার্তদের ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছে দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংগৃহীত অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় খাবার, জরুরি ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইনসহ খাদ্যসামগ্রী কিনে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং লক্ষ্মীপুরের বানভাসি মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের উদ্যোগে প্রতিদিন নোয়াখালীর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবার, শিশুখাদ্য ও জরুরি ওষুধ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।