1. info@www.crimenews24.tv : Crime News 24 :
মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:খাদেমুল ইসলাম!
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ১ নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা মিলনের পদত্যাগ দাবি করে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। মানববন্ধনে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা, চাকুরীর নামে টাকা নেওয়া, বাড়ি ঘর ভেঙে মার্কেট নির্মাণ করাসহ অসংখ্য অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার সময়ে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে উপজেলার সিপাইপাড়া বাজারে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের ভুক্তভোগী, শফিউল আলম (৪৮), স্থানীয় দোকানদার ওবায়দুর রহমান (৫২), শাহিনুর আলম (৬৫), জফির উদ্দীন (৬৫), আব্দুল হামিদ(৪৫) নকিবুল (৪০) আনোয়ারা (৭০) সহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তিনি চাকরি ও মানুষের জমি দখল করে দেয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কেউ বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের জমি কিনতে চাইলে তার মাধ্যমে কিনতে হতো। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষজন। তার অনিয়ম, দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। তিনি ৩৪টির বেশি মামলার আসামি। তারপরেও জামিনে মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলায় মাদক মামলাসহ নানা মামলা দিয়ে মানুষজনকে হয়রানি করা হয়েছে। অনেকে তার রোষানলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন।

মানববন্ধনে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দীঘলগাঁও এলাকার জফির উদ্দীন (৬৫) বলেন, মিলন চেয়ারম্যান তিনি গত ৫ বছর ধরে আমার জমি দখল করে খাচ্ছেন। তিনি দলীয় পরিচয় বহন করে এতদিন লুটতরাজের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

ওই এলাকায় বৃদ্ধা আনোয়ার বেগম বক্তব্যে বলেন, খাস জমিতে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছিলাম। মিলন ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমার বসত ভিটা ভেঙে দখল করে নেয়। ওই খাস জমিতে তিনি মার্কেট নির্মাণ করেন।

আব্দুল হামিদ বক্তব্যে বলেন, একটা সময় ধানের গড় বিক্রি করে চলতো। আজ তিনি কয়েকশো কোটি টাকার মালিক। তিনি আরো বলেন, আমি স্থলবন্দরে এক একর জমি ক্রয় করি। জমি ক্রয় করাতে চাঁদা হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এবং আমার জমিটি ওর নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দ্বারা দখল করে নিয়েছেন। আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমি একাধিক বার জেলও খেটেছি।

মানববন্ধন শেষ করে উপজেলা চত্বরে আরেক দফা মানববন্ধন করেন। শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন বলেন, আমি কখনো কারো জমি দখল করেছি, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© 𝟐𝟎𝟐𝟐-𝟐𝟎𝟐𝟑 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 𝐀𝐥𝐥 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭𝐬 𝐫𝐞𝐬𝐞𝐫𝐯𝐞𝐝.
𝐃𝐞𝐬𝐢𝐠𝐧 & 𝐃𝐞𝐯𝐞𝐥𝐨𝐩𝐞𝐝 𝐛𝐲: 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝