1. info@www.crimenews24.tv : Crime News 24 :
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

বীরগঞ্জে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘোষণা।

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

 

রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি:বিএনপি নেতা এবং ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান চৌধুরী শাহীনের নেতৃত্বে বীরগঞ্জ চৌধুরীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান খানের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অবিশ্বাস্য কাহিনী সৃষ্টি করে বিভ্রান্তিকর, বিধি বহির্ভুত, আন্দোলন করা হয়. গত শনিবার ১৭ আগষ্ট’২০২৪ ছুটির দিন অর্ধ শতাধিক ছাত্র জনতার মাঝে স্কুলের আহবায়ক কমিটির সম্মানিত সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আলহাজ্ব আবু সামা মিয়া ঠান্ডু মহোদয়কে স্কুলের দোতলায় ডেকে এনে চলমান সভায় কটু বাক্যের মাধ্যমে অপমান অপদস্ত করা, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার সময় কালে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগকৃত তিনজন কর্মচারীকে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাদের স্বহস্তে সাদা কাগজে ঘুষ লেনদেনের অঙ্গিকার নামা লিখে নেয়াসহ প্রধান শিক্ষক কে যেকোন মুল্যে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘোষনা দেয়া হয়।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, এমনকি যে কোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের কারনে জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সচেতন মহল মন্তব্য করেছেন। অনেকে মন্তব্য করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী এবং সাবেক সভাপতি প্রভাষক জিয়াউর রহমান জিয়া দুজনেই বিপরীত মেরুর ঝানু দলীয় রাজনীতিবিদ এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী। বলা চলে সংগত কারনে এগুলো সবই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। ইতেমধ্যে প্রশাসন এবং সেনা প্রশাসনকে ঘটনাটি প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অবগত করা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপর দিকে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান এবং সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার সমর্থক একটি মহল মনে করেন শাহীন চৌধুরী নিজেই চৌধুরীহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ প্রতিষ্ঠা করে অনেক দূর্নীতিসহ জাল জালিয়াতি করেছেন, তিনি তার স্ত্রীকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে ঐ কলেজের অধ্যক্ষ বানিয়ে দীর্ঘদিন চাকুরী করিয়েছেন, অতঃপর জালিয়াতির ঘটনাটি ফাঁস হলে তার স্ত্রী’র চাকুরী চলে যায়। প্রতারণা করে অভিযুক্ত ওই অধ্যক্ষ দীর্ঘ ১৫ বছরের অধিক সময়কাল অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বিল-বেতন-ভাতা কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করলেও এখনো সরকারি কষাগারে ওই অর্থ জমাদান করেন নাই, তাই বিষয়টি সরকারের নজরে আনতে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও সংশ্লিষ্টরা মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যপারে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান বিএনপি নেতা ও চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরীর কারনে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হতে চলেছে, তিনি মারাত্মক
নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।
চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী ও তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবে অনেকটাই দিশেহারা অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন প্রধান শিক্ষক।
সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া এবং প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন বিগত ৪/৫ বছর পুর্বে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিধি মোতাবেক কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে, কোন প্রকার অনিয়ম বা ঘুষ দূর্নীতি হয় নাই। ছাত্রদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার এবং শিক্ষাঙ্গনে অরাজকতা সৃষ্টি করে ২/৪ জন সুযোগ সন্ধানী ব্যাক্তিকে সাথে নিয়ে শাহীন চৌধুরী নিজের স্বার্থ হাসিল করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। একজন চেয়ারম্যান তার প্রকাশ্য নেতৃত্বে এলাকায় বাড়িঘর জ্বালাও পোড়াও সহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

সকলকে সজাগ থাকার আহবানও জানান তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© 𝟐𝟎𝟐𝟐-𝟐𝟎𝟐𝟑 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 𝐀𝐥𝐥 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭𝐬 𝐫𝐞𝐬𝐞𝐫𝐯𝐞𝐝.
𝐃𝐞𝐬𝐢𝐠𝐧 & 𝐃𝐞𝐯𝐞𝐥𝐨𝐩𝐞𝐝 𝐛𝐲: 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝