রাজন হোসেন তৌফিকুল মৌলভীবাজর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ৭টি ক্যাটাগরিতে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এঘটনায় পাঁচজনকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে থেকে অভিযুক্ত পাঁচজনকে কুলাউড়া, রাজনগর ও জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তারা হলেন-মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রধান সহকারী অসিত চক্রবত্রী, পরিসংখ্যানবিদ অহিজিৎ দাস, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রঞ্জনা দেবী, স্টোর কিপার অলক চন্দ্র পাল, অফিস সহায়ক (প্রেষণে) বিরজিৎ দাশ। জানা যায়, সম্প্রতি ৭৪টি পদের মধ্যে কেবল ৬৭টি জনই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিয়োগ পেয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনা স্যোশাল মিডিয়ায় জানাজানি হলে হলে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জেলাবাসীর। নিয়োগবঞ্চিত ও সচেতনমহল নিয়োগকৃতদের চাকুরী বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছেন। ওই নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার গুরতরও অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ কমিটির সদস্য,
পরীক্ষক ছাড়াও মন্ত্রী এমপিসহ সিভিল সার্জন অফিসের ৫ জন কর্মচারী ও ২৫০ শয্যা সদর
হাসপাতালের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।। উঠেছে সরাসরি এই দূর্নীতির সাথে জড়ি। সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী চক্রবর্তী, হেড এ্যাসিটেন্ড কাম ক্যাশিয়া দেবী, পরিসংখ্যানবিদ অহিজিৎ দাস রিজও কিপার অলকচন্দ্র পাল। ৩ ২৫০ শয্যা সলর। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিতাংশ আচার্য্যসহ অন্যরা। দালালের মাধ্যমে উল্লেখিতরা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। তারা নিয়োগ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টরা সদস্যদের ম্যানেজ করে চাকুরী দেবার শর্তে অন্তত ৫০-৬০ জন প্রার্থীর ক ৫-৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। নিয়োগের পরও আরেক দফা পোস্টিং বাণিজ্য করে সার্জন অফিসের সংশ্লিষ্টরা। ওই ঘটনার নেপথ্যে আর্থিক বাণিজ্যে জড়িত মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল) সাবেক এমপি ও কৃষি মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা। ভ.আব্দুস শহীদ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভী (কুলাউড়া) আসনের সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিএমএর মৌল জেলা সভাপতি ডা: সাব্বির হোসেন খান ও ডা: শাহজাহান কবির চৌধুরী।