1. info@www.crimenews24.tv : Crime News 24 :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন

লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ সবজি চাষে কৃষক।

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

আব্দুস সামাদ
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটের মানুষের অর্থকরী ফসলের চাষাবাদের মধ্যে শাক সবজির চাষ অন্যতম। প্রতি বছরই বিভিন্ন শাক সবজির চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এ লালমনিরহাট জেলার কৃষকেরা। এ বছরেও ব্যাপক পরিমাণে শাক সবজির চাষ হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত শাক সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রেরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে সবজির বাজার দর অনেকটাই কম। উৎপাদিত সবজির কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। শ্রমিকসহ বাজারে সবজি পরিবহন খরচের টাকাও উঠছে না বিক্রি করে। ক্রেতা কম থাকায় অধিকাংশ সবজিই নষ্ট হচ্ছে জমিতেই।

চাষিরা বলেন, বাজারে দাম কম, পাইকারি ব্যবসায়ীরাও আসছেনা। জমিতে নষ্ট হচ্ছে বাঁধাকপি ও ফুলকপি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলেন, লালমনিরহাটসহ সারা দেশে শীতকালীন সবজি বাজারে উঠাতে সবজি বাজার কমে গেছে।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় চলতি মৌসুমে শাক সবজি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬হাজার ৫০০শত হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যেই ৫হাজার ৮০০শত হেক্টর জমির শাক সবজির চাষাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রায় ১হাজার ২০০হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। বর্তমানে সবজি মাঠগুলোতে রয়েছে করলা, টমেটো, চিচিঙ্গা, বেগুন, ঢেঁড়স, আলু, কুমড়াসহ নানান রকমের পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি শাকসবজি পাইকারি বাজারের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজার এখন বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে ভরা। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে কৃষকদের আশা সবজির তুলনায় ক্রেতা কম। এতে অধিকাংশ কাঁচামাল নষ্ট হয়ে লোকসানে চাষীরা।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী বাজারের কয়েকজন খুচরা দোকানদার জানান, বাজারে সবজির দাম কমেছে, ক্রেতার সংখ্যাও কমেছে। এতে পাইকারদের কাছ থেকে নিয়ে আসা সবজি বিক্রি করতে না পেরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন আমার লোকসানে ভুগছি।

বড়বাড়ী ইউনিয়নের ফুলকপি চাষি হারুন হোসেন (৪৫) বলেন, অনেক আশা নিয়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষাবাদ করেছিলাম। আমার সবজি মাঠে ফলনও মোটামুটি অনেক ভালো হয়েছে। একেকটি কপির ওজন হয়েছে দেড় থেকে দুই কেজি। সবজি মাঠের প্রায় ৪০ভাগ সবজি বিক্রি হয়েছে। বাকি সবজির তেমন মূল্য না থাকায় বিক্রি করতে পারিনি। পড়ে আজকে কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাজারে ৫-৬টাকা পিচ বিক্রি করতে হচ্ছে।

একই এলাকার সবজি চাষি হবি মিয়া (৫০) বলেন, একবিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করতে খরচ হয়েছে ৩০হাজার টাকা। বর্তমানে সেই বিঘা জমির ফুলকপি বিক্রি হচ্ছেন ১০ থেকে ১৫হাজার টাকা। সবজি বিক্রি করে হতাশা ছাড়া আর কিছুই জুটতেছে না। এখন ঘর থেকে শ্রমিক খরচ দিতে হচ্ছে। সার ও কীটনাশকের দোকান থেকে ধার দেনা করে আবাদ করছি। বিক্রির পর দেনা পরিশোধ করবো। কিন্তু সে আশায় ভাটা পড়েছে।

কৃষক মাইদুল ইসলাম (৩৮) বলেন, সবজির মধ্যে বাঁধাকপি কয়েক সপ্তাহ রাখা গেলেও ফুলকপি বিক্রির উপযোগী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করতে হয়। না হলে ফুল ফুটে গেলে বিক্রির অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আমার ২বিঘা জমির সবগুলো বিক্রি করতে না পেড়ায় অধিকাংশ জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন বলেন, প্রতি বছর এ মৌসুমে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। বর্তমান বাজারে সব ধরনের সবজির যোগান বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমে এসেছে ফুলকপি ও বাঁধাকপির।

তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষকদের আগাম সবজি চাষের জন্য পরামর্শ দেই। তাতে কৃষকেরা লাভবান হন। আর ভরা মৌসুমে সবাই একসাথে সবজি চাষ করলে বাজারে ব্যাপক সবজির আমদানি হয়। ফলে দাম একটু কমে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© 𝟐𝟎𝟐𝟐-𝟐𝟎𝟐𝟑 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 𝐀𝐥𝐥 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭𝐬 𝐫𝐞𝐬𝐞𝐫𝐯𝐞𝐝.
𝐃𝐞𝐬𝐢𝐠𝐧 & 𝐃𝐞𝐯𝐞𝐥𝐨𝐩𝐞𝐝 𝐛𝐲: 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝