1. info@www.crimenews24.tv : Crime News 24 :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন

শিল্পনগরী এখন মৃত নগরীর পথে

মোঃ আবু সাঈদ
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৭০৮ বার পড়া হয়েছে

ষাটের দশকে খুলনা দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। সে সময় এ দেশে শিল্প বলতে যা বোঝায় তা অনেকাংশেই খুলনার কলকারখানাকেই বোঝাত। খুলনার নামকরণও হয় শিল্পনগরী হিসেবে। এশিয়ার সর্ববৃহৎ নিউজপ্রিন্ট কারখানা স্থাপিত হয় খুলনার টাউন খালিশপুরে। গড়ে ওঠে বেশ কয়েকটি বৃহৎ পাটকল। এক সময় সারা দেশের লোকজন কর্মসংস্থানের জন্য ছুটে অাসত খুলনায়। বেকার যুবকরা জানত খুলনায় গেলে কোনো না কোনো কাজ পাওয়া যাবে। বাস্তবে হতোও তাই। এই শিল্প এলাকার নাম সারা দেশে ছিল সমাদৃত। স্বাধীনতার পর দেশের প্রতিটি অঞ্চল এগিয়ে গেলেও খুলনায় ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। স্বাধীনতার আগে যে নগরী ছিল শ্রমিকের পদভারে আর কর্মময় জীবনের ছন্দে মুখরিত সেই নগরী এখন প্রায় মৃত নগরী। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র বলে বিবেচিত হতো যে শিল্পনগরী সেই নগরীর বেশির ভাগ কলকারখানা এখন বন্ধ। গ্যাস সংযোগ না থাকায় স্বাধীনতার পর খুলনায় কোনো বড় শিল্প গড়ে ওঠেনি বললেই চলে। খুলনার শিল্পাঞ্চলের একের পর এক মিল-কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
আশির দশক থেকে লোকসানের অভিযোগে একের পর এক মিল-কলকারখানা বন্ধ হতে থাকে। খুলনার শিল্পাঞ্চলের মুখরিত পরিবেশ পাল্টে যায়। বর্তমান সরকারের আমলে বন্ধ কলকারখানা চালুর চেষ্টা চললেও এক্ষেত্রে সাফল্য খুব একটা বেশি নয়। মাথাভারী প্রশাসন, মান্ধাতা আমলের উৎপাদন ব্যবস্থা চালু কলকারখানাগুলোর জন্য লাভ নিশ্চিত করতে পারেনি। এ ব্যাপারে দায়িত্বহীন ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রমিক নেতা নামধারী লুটেরাদের অবদানও কম নয়। ফলে সরকারের শত চেষ্টা সত্ত্বেও খুলনা শিল্পনগরী আর আগের মতো কোমর খাড়া করে দাঁড়াতে পারেনি।
পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে খুলনা শিল্পনগরী নবউদ্দীপনায় জেগে উঠবে এমন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে যত তাড়াতাড়ি খুলনা শিল্পাঞ্চল কে সচল না করলে এ অঞ্চলের খালিশপুর মৃত নগরীতে পরিনিত হবে কারন এ অঞ্চলের মানুষ মিলের উপর নির্ভরশীল এখানে অধিকাংশ মানুষ ছোট,বড় ব্যবসাহী। মিলের বিল হলে এ অঞ্চলে রাস্তাঘাট দোকানপাট মানুষের ঢল নামত। সপ্তাহে কয়েকটি মিলের বিলের টাকা বিভিন্ন স্তরে মানুষের হাতে লেনদেন হত। যা বর্তমানে হচ্ছে না,যারা এ অঞ্চলে ঘর ভাড়া করে মিলে কাজ করত অাজ তারা গ্রামমুখী, দোকানপাট গুলো বেচা কেনা নেয় বললেই চলে যার ফলে ব্যাংক,বীমা,বিভিন্ন রাজস্ব বঞ্চিত হবে। শিল্প এলাকায় কর্মচঞ্চলতা ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতার হাত না বাড়ালে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। খুলনার সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী সবার প্রাণের দাবি খুলনা তার হৃত গৌরব ফিরে পাক। অবসান হোক লাখো লাখো শ্রমিকের হতাশার জীবন। বন্ধ মিল চালু করে টেকসই করতে হলে সরকারের করণীয় হবে বিশেষজ্ঞ দ্বারা কারখানা চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটি গঠন করা। কমিটি সব দিক যাচাই-বাছাই চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করবে। সবচেয়ে বড় কথা খুলনায় বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। জাপান, কোরিয়া ও চীনের শিল্প উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে শিল্প স্থাপনে আগ্রহী। চট্টগ্রাম এলাকায় পর্যাপ্ত জমির অভাব থাকলেও খুলনায় সে সমস্যা নেই বললেই চলে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© 𝟐𝟎𝟐𝟐-𝟐𝟎𝟐𝟑 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 𝐀𝐥𝐥 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭𝐬 𝐫𝐞𝐬𝐞𝐫𝐯𝐞𝐝.
𝐃𝐞𝐬𝐢𝐠𝐧 & 𝐃𝐞𝐯𝐞𝐥𝐨𝐩𝐞𝐝 𝐛𝐲: 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝