মোঃ নেওয়াজ মোর্শেদ নোমান, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা এ্যাড. রানা দাস গুপ্ত ও জয়পুরহাট জেলাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাবলি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত এবং আজও চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অবসান ও ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (০২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় জয়পুরহাট শহরের শহীদ ডা: আবুল কাশেম ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জিরো পয়েন্ট পাচুর মোড় (শহিদ বিশাল) চত্বরে এসে ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জয়পুরহাট জেলা শাখার আহ্বায়ক এ্যাড. নন্দ কিশোর আগরওয়ালার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সদস্য সচিব এ্যাড. স্বপন তালুকদার, একই সংগঠনের পাঁচবিবি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র দাস, আক্কেলপুর উপজেলা সভাপতি ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা, পূজা উদযাপন পরিষদ জয়পুরহাট জেলা শাখারর সভাপতি এ্যাড. ঋষিকেশ সরকার, সনাতন জাগরণ মঞ্চ জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক গোবিন্দ বাঁশফোর, সমন্বয়ক চৈতন্য চ্যাটার্জী, আনন্ত বর্মন, কল্যান বর্মন, পিয়াস মহন্ত প্রমুখ।
এ সময় উত্তরবঙ্গসহ অন্যান্য অঞ্চলে গত ৫ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে খুলনায় উৎসব মন্ডলকে
হত্যার চেষ্টা এবং চট্টগ্রামের চেরাগী মোড়ে গণেশ প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশের ভবন থেকে গরম জল ও ইট নিক্ষেপ করার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, আমরা কেন স্বাধীন নই? সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য আমার বর্তমান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং ৮ দফা দাবি জানাচ্ছি। সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়নও বাস্তবায়ন, সংখ্যালঘুদের জন্য ১০শতাংশ সংসদীয় আসন বরাদ্দ, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করার পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত, দেবোত্তর সম্পত্তির পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ, শারদীয় দূর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি দিতে হবে এমন ৮ দফা দাবি জানান তারা।