রাফি চৌধুরী, সীতাকুণ্ডঃ
চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় লাখো উপকূলীয় বাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে টানা বৃষ্টিতে,বিলুপ্ত বেঁড়ীবাধ দিয়ে প্রবল শ্রোতে পানি প্রবেশ করছে উপকূলীয় গ্রামগুলোতে।
সীতাকুন্ডের উপকূলীয় গ্রাম সলিমপুর,ফৌজদারহাট,ভাটিয়ালী, ইমামনগর জেলেপাড়া,মাদামবিবিরহাট,কদম রসুল,শীতলপুর,জোড়া- মতল,কুমিরা ঘাটঘর,জেলেপাড়া, আকিলপুর,নডালিয়া,মান্দারীটোলা, গুলিয়াখালী,ভাটেরখীল,
পশ্চিম সৈয়দপুর,শেখেরহাট,
পশ্চিম বহরপুর এলাকার বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়,গত কদিনের টানা বৃষ্টিতে ও ভাঙ্গা বেঁড়িবাধ দিয়ে প্রবল শ্রোতে বানের পানি প্রবেশ করছে গ্রামে।অনেকের ঘরে গত কয়দিন ধরে হাটুপানি,
পারছেনা সাংসারিক কাজকাম করতে,পারছেনা রান্নাবান্না করতে,দিন মজুদের
কষ্টেরতো সীমাই নেই। নেই ঘরে খাদ্য,নেই কাজ। কৃষকদের কৃষি সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে গেছে।
বাঁশবাড়ীয়ার ইউনিয়নের নুনাছড়া গ্রামের মোঃ আলী জানায়,১৯৯১ সালে ঘুর্নিঝড়ে সীতাকুণ্ডে হাজার হাজার উপকূল বাসী মারা যাওয়ার পর তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী এল কে সিদ্দিকীর উদ্যোগে বারআউলিয়া থেকে মীরসরাই প্রযন্ত বেড়িবাঁধ নির্মান করে, এরপর পরবর্তী জলোচ্ছ্বাসে জোড়া মতল এলাকায় আধা কিলোমিটার,বাঁশ বাড়িয়া আকিলপুরে এককিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে যায়,এর পর নামমাত্র মেরামত করা হলেও সাগরের জোয়ারে আবারো বিলীন হয়ে যায়।দুবারই মেরামতের নামে সরকারী কোটি কোটি টাকা সাগরের পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে,কিছু সংশ্লিষ্টদের পকেটস্থ হয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে,কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তিনি জরুরী ভাবে দুর্নীতিমুক্ত বেঁড়িবাধ নির্মান দাবী করেন।
সরকারী সাহায্য খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করারও দাবী জানান।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম প্রতিনিধি কে জানায়,সাগরে ঘূর্ণীঝড়ের সংকেত পেলে আমরা উপকূলবাসীকে নিরাপদস্হানে সাইক্লোন সেন্টারে আসার জন্য অনুরোধ করি,কিন্তু তারা
বাড়ী ছেড়ে আসতে চায়না,সাইক্লিং সেন্টারে আমরা খাদ্যের ব্যবস্হা রয়েছে,এবং যারা আসে তারা পেয়ে থাকে।তারপরও সবাই যাহাতে পায় আমরা চেষ্টা করছি।
#####
রাফি চৌধুরী
সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
মোবাইল ঃ
তারিখঃ ০২,০৬,২০২৪ ইং
ছবি ক্যাপশনঃ বাশঁবাড়ীয়া আকিলপুর বিলীন বেড়িবাঁধ দিয়ে গ্রামে সাগরের পানি প্রবেশ করছে।