নিরেন দাস
বিশেষ প্রতিনিধি:
র্যাব-প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে । জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষণ মামলার আসামীসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৬ জুলাই ২০২৪ তারিখ ২৩:৩০ ঘটিকায় মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ মানিক (২৮), পিতা-মৃত শাহা আলম, সাং-মধ্য দরগাপাড়া, ২। মোঃ শাহীন আলম (২৯), পিতা-মোঃ আব্দুল খালেক, সাং-চান্দাপাড়া, উভয় থানা-পার্বতীপুর, জেলা-দিনাজপুর ও ৩। মোছাঃ আরোজা বেগম (৪৫), স্বামী-নসির উদ্দিন, সাং-বাগজানা, থানা-পাঁচবিবি, জেলা-জয়পুরহাটদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং পলাতক আসামী মোঃ আতিয়ার রহমান (২৮), পিতা-মোঃ আজাহার রহমান @ রাজা, সাং-চান্দাপাড়া, দর্গাপাড়া, থানা-পার্বতীপুর, জেলা-দিনাজপুর কৌশলে পালিয়ে যায়।
পলাতক আসামী আতিয়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে মানিক, শাহীন এবং আরোজা বেগম এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। ০৬-০৭-২০২৪ ইং তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীগণ নীলসাগর এক্সপ্রেস এ মাদক বহনকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানাধীন আক্কেলপুর রেলস্টেশন প্লাটফর্ম এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর আভিযানিক দল উক্ত আসামীদেরকে আটক করে এবং মুলহোতা আতিয়ার কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধৃত আসামীদের সাথে থাকা দুটি ট্রাভেল ব্যাগ ও একটি ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশি করলে তাদের নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ২,২৩৫ পিচ বুপ্রেনরফিন ইঞ্জেকশন উদ্ধার করা হয়।
মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত সান্তাহার রেলওয়ে থানায় জমা করতঃ একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।