1. info@www.crimenews24.tv : Crime News 24 :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন

ব্যাংক থেকে অর্থ সহায়তা পেলে চালু করবো মুরগি খামারটি —-. টেবলু চৌধুরী

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি:- রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় মুরগি খামারী টেবলু জানান, প্রশাসনিকভাবে বা সরকারি – বেসরকারি ( জিও- এনজিওর) ভাবে বা কোনো দাতা-গোষ্ঠীর কাছ ঋণ সহায়তা পেলে পুনরায় মুরগির পালন চালু করতে চাই। খামারীর আসল নাম:- অমর চক্রবর্তী (টেবলু), পিতা :- মৃত- অমত লাল চক্রবর্তী। থাকে বিলাইছড়ি বাজার এলাকায়। যার ফোন নাম্বার ০১৮২৮৮০৪৩০৯। তাকে টেবলু নামে বেশি চিনে । তিনি জানান, ২০০০ সাল হতে নিজ উদ্যোগে ১ টি লেয়ার ও ১ টি ব্রয়লার মুরগীর ফার্ম করি। ফার্মে প্রায় ৩,৫০০ মুরগি ছিল। উপজেলার মাংস চাহিদা মেটাতে প্রতিনিয়ত প্রায় ৫০০-৬০০ ডিম ও অনেক মুুরগি বিক্রয় করি।

তার কাছ থেকে আরও জানা যায়, প্রায় দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মুরগি পালনে নিজ উদ্যোগে ঔষধ এবং ভ্যাকসিন দিতেন । বর্তমানে ভ্যাকসিন ও ঔষুধের দাম বৃদ্ধি। মুরগির বাচ্চা ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এবং প্রাণি সম্পদ অফিসের তেমন সহযোগিতা না পাওয়ায় একেবারে খামারটি বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও জানান,কেউ আমাকে খবর নেননি, আমার খামার ব্যাপারে, কি প্রাণিসম্পদ অফিস বলেন,কি ইউনিয়ন পরিষদ বলেন কি উপজেলা প্রশাসন বলেন। আমার রেজিষ্ট্রিভুক্ত জায়গায় রয়েছে।যদি কোনোভাবে ১০,০০০০০/= লক্ষ টাকা ঋণের সুবিধা পাই। তাহলে পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের থেকে কিছু দিয়ে ঘরগুলো মেরামত করে মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে খামাটি রি-স্টার করতে পারবো। যা উপজেলার কিছুটা হলেও আমিষের চাহিদা পুরণে এবং কম দামে মাংস ও ডিম বিক্রয়ে সক্ষম হবো।

তার কথা মতে সরেজমিনে দেখতে গেলে দেখা যায় নলছড়ি এলাকায় ঠিকই তার ৩ টি মুরগির খামার রয়েছে। কিছু মেরামত করলে হবে। তবে নেই কোনো মুরগি। রয়েছে কিছু খাঁচা ও খাবারে পাত্র। রয়েছে কয়েকটি গরুও।রয়েছে বেশ জায়গা। চাইলে গরু খামারও করা যাবে। স্থানীয়রা জানান, তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ছিলেন।এবং বেশ কয়েক বছর ধরে সফলতার সঙ্গে মুরগি খামার করে উপজেলার আমিষের চাহিদা পুরণের সহায়ক ভুমিকা রেখেছেন। কেউ বাকি চাইলেও না বলতেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা ( ভা:) প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা রুপম কান্তি চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বেসরকারি ভাবে কেউ খামার করলে আমরা সহযোগিতা দিয়ে থাকি, তবে এখন গর্ভমেন্টের ভ্যাকসিনের একটা নির্ধারিত রেট আছে,মুরগী ২০ টাকা গবাদি – পশু ১০০ টাকা এবং এক ভায়া ৪০০ টাকা। চাহিদা অনুসারে যদি ঠিকানা থাকে দিতে পারা যায় যদি কেউ অগ্রীম বলে।তবে তাদের ফ্রিতে ট্রেনিং দেওয়ার অপশন নাই,মাঝে মাঝে উঠান বৈঠকে গেলে ধারণা দেওয়া হয়।ঔষধ গুলি বিনামূল্যে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সরাসরি কথা হলে তিনি জানান,চলমান মুরগির খামার হলে খণ দেওয়া যায়। তার মুরগির খামারটি আগের। তাছাড়া পাহাড়ের মুরগির খামার করতে হলে সঠিক তাপমাত্রা প্রয়োজন। এখানে নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকেনা।ফার্মের মুরগি পালনে প্রথমে বিদ্যুতের সু-ব্যবস্থা প্রয়োজন।দেশী মুরগির খামার হলে একটা কথা। আমি সরে জমিনে দেখতে যাবো।তার পরে জানাবো।

এইসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামশেদ আলম রানা সঙ্গে সরাসরি কথা হলে তিনি জানান, যাচাই সাপেক্ষে যদি যৌক্তিক মনে হয় তাহলে ঋণ দেওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত:- উনার মতো এখনো উপজেলায় এত বড় ফার্ম কেউ করতে পারেনি। ঠিকমত করতে পারলে উপজেলায় মাংসের ঘাটতি পুরণের পাশাপাশি পুরন হবে আমিষের ঘাটতিও। যা বাইরে থেকে আনা মুরগির চেয়েও কম দামে ক্রয় করতে পারবে এলাকার মানুষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© 𝟐𝟎𝟐𝟐-𝟐𝟎𝟐𝟑 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 𝐀𝐥𝐥 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭𝐬 𝐫𝐞𝐬𝐞𝐫𝐯𝐞𝐝.
𝐃𝐞𝐬𝐢𝐠𝐧 & 𝐃𝐞𝐯𝐞𝐥𝐨𝐩𝐞𝐝 𝐛𝐲: 𝐏𝐨𝐢𝐧𝐭 𝐌𝐞𝐝𝐢𝐚 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝